শাহ জে. চৌধুরী
ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন (খওঈ) থেকে প্রায় ৩.৯ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩২,০০০ কোটি টাকা) আদানি গ্রুপের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রকল্পে বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই বিনিয়োগ পরিকল্পনা তৈরি হয়েছিল ভারতের আর্থিক মন্ত্রণালয়, ঘওঞও অধুড়ম, এবং উবঢ়ধৎঃসবহঃ ড়ভ ঋরহধহপরধষ ঝবৎারপবং (উঋঝ)-এর যৌথ প্রচেষ্টায়, যা আদানি গ্রুপের ঋণ পুনঃঅর্থায়ন ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা বজায় রাখতে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়েছিল।
বিনিয়োগের উদ্দেশ্য ও সমালোচনা: খওঈ-এর তহবিল থেকে আদানি গ্রুপের বন্ড ক্রয় এবং বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানে ইক্যুইটি শেয়ার বৃদ্ধির মাধ্যমে এই বিনিয়োগ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়। তবে, সমালোচকরা এই পদক্ষেপকে “ক্রোনি ক্যাপিটালিজম” এবং “জনগণের অর্থের অপব্যবহার” হিসেবে অভিহিত করেছেন, বিশেষ করে খওঈ-এর মূল উদ্দেশ্য ছিল দরিদ্র ও গ্রামীণ জনগণের জীবন বীমা সেবা প্রদান।
আদানি গ্রুপের প্রতিক্রিয়া: আদানি গ্রুপ এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে যে, তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে কোনো রাজনৈতিক প্রভাব নেই এবং তাদের উন্নতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের পূর্বেই শুরু হয়েছিল।
আইনি ও আর্থিক চ্যালেঞ্জ: গত বছর, আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ও ঝবপঁৎরঃরবং ধহফ ঊীপযধহমব ঈড়সসরংংরড়হ (ঝঊঈ)-এর পক্ষ থেকে ঘুষ ও প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছিল। এই অভিযোগের পর, আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলো আদানি গ্রুপকে ঋণ প্রদানে অনীহা প্রকাশ করে, যার ফলে ভারতের সরকার তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
রাজনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ প্রভাব: আদানি গ্রুপের প্রধানমন্ত্রী মোদির সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে, যা এই বিনিয়োগ পরিকল্পনায় রাজনৈতিক প্রভাবের সম্ভাবনাকে উত্থাপন করেছে। সমালোচকরা সতর্ক করেছেন যে, এই ধরনের পদক্ষেপ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ণ করতে পারে এবং ভবিষ্যতে আর্থিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে।




