যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি প্রবীণদের ৪১.৮ শতাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপে ৬২.২ এবং অস্বাভাবিক ওজনে ভুগছেন ৫০.২ শতাংশ বাংলাদেশি। দেশটিতে দক্ষিণ এশিয়ান আমেরিকানদের স্বাস্থ্য-চিকিৎসা নিয়ে নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ও ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির একটি যৌথ গবেষণা-পর্যবেক্ষণে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
১৪ বছরের এ গবেষণায় তহবিল জুগিয়েছে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ) ও বেসরকারি খাত। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির কমিউনিটি হেলথ ফোরাম এবং ইন্ডিয়া হোমসের যৌথ উদ্যোগে সোমবার জ্যামাইকায় অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় তাদের গবেষণা-পর্যবেক্ষণের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। মেডিয়েটর্স অব অ্যাথিরোসক্লিরোসিস ইন সাউথ এশিয়ানস লিভিং ইন আমেরিকা স্টাডিজের অ্যাসোসিয়েট রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর সংগঠক সাবিহা সুলতানা বলেন, “প্রবীণ প্রবাসীদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষা আলোকে ২০২১ সালে নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি পরিচালিত জরিপে টার্গেট ছিল ৮৫০ জন।
সে স্থলে অংশ নেন ৭৫৪ জন। ৬০০ বাংলাদেশির স্থলে পাওয়া যায় ৫৭০ জন। এর ৪৯ শতাংশ পুরুষ ছিলেন। “সেই জরিপে উদঘাটিত হয় যে, বাংলাদেশি প্রবীণদের ৪১.৮ শতাংশ ডায়াবেটিসে আμান্ত। আর উচ্চ রক্তচাপে আμান্ত ৬২.২ শতাংশ। অস্বাভাবিক ওজোন ৫০.২ শতাংশ। পাকিস্তানিদের মধ্যে এ হার ৫৫.৬ শতাংশ এবং ভারতীয়দের মধ্যে ৩০ শতাংশ।
” গবেষণায় আরও বলা হয়, ‘নিজেকে সুস্থ রাখতে দক্ষিণ এশিয়ার এ তিন দেশের অভিবাসীর মধ্যে সবচেয়ে সচেতন হচ্ছেন ভারতীয়রা। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্য এগিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশিরা, এ হার ৯৯.৪ শতাংশ। পাকিস্তানিদের মধ্যে ৯৭.৮ শতাংশ।’ নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে এশিয়ান আমেরিকানদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার হিসেবে কর্মরত সাবিহা আরও জানান, ‘ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি গবেষণা জরিপে এখন পর্যন্ত অংশ নিয়েছেন ২ হাজার ৩০০ জন।
চলমান গবেষণা-জরিপ আলোকে ইতোমধ্যে ১১০টি প্রবন্ধনিবন্ধ চিকিৎসা সম্পর্কিত জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, যার সুফল আসছে সামগ্রিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থায়।’ কর্মশালা থেকে আরও জানানো হয়, ‘আগে ৫০ বছর বয়স হলেই চিকিৎসকেরা কলোন ক্যান্সার টেস্টের তাগিদ দিতেন। এখন তা কমিয়ে ৪৫ বছর করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ানরাও কলোন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন টেস্ট করা জরুরি।’