নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র পদে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি-র প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানালো বাংলাদেশি
নিউ ইয়র্ক । জুন ১৯, ২০২৫: আমেরিকান কমিউনিটি। গত শুক্রবার, ১৩ জুন, জ্যামাইকার ১৬৮ স্ট্রিটে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই প্রগতিশীল তরুণ প্রার্থীর পক্ষে নিজেদের শক্ত অবস্থান স্পষ্ট করে দেন।
নির্বাচনী সমাবেশটি আয়োজন করে ‘জ্যামাইকা ফর জোহরান’ ব্যানারে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে অংশ নেয় হাজারো প্রবাসী, যাদের হাত ধরেই গড়ে উঠেছে নিউ ইয়র্কের অভিবাসী পরিচয়।
জোহরান মামদানির বার্তা: “নিউ ইয়র্ক ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে”
সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মামদানি বলেন, “নিউ ইয়র্ক সিটি এবার সম্ভবত তার ইতিহাসে প্রথম একজন মুসলিম মেয়র পেতে যাচ্ছে। এটি সম্ভব হচ্ছে আপনাদের মতো ৩৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ক্যাম্পেইনারের জন্য।”
তিনি জানান, মাত্র কয়েক দিনে তার নির্বাচনী প্রচারণায় ৮ মিলিয়ন ডলার ফান্ড রেইজ হয়েছে—যা সিটির নির্বাচনী ইতিহাসে নতুন রেকর্ড। তার মতে, অ্যান্ড্রু ক্যুমো এবং রিপাবলিকান সমর্থক বিলিয়নেয়াররা বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করেও জনগণের মন পরিবর্তন করতে পারবে না।
“নিউ ইয়র্কাররা অর্থের কাছে কখনও মাথা নত করে না”, বলেন মামদানি।
কমিউনিটির ঐক্য ও সমর্থন
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, ইমাম, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। বক্তব্য রাখেন:
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমীর খান (গ্র্যান্ড মার্শাল)
ডাঃ ওয়াহিদুর রহমান, ডাঃ নাজমূল খান, ডাঃ মাহমুদুর রহমান
ইমাম দেলোয়ার হোসেন, ইমাম শামসী আলী
কমিউনিটি নেতা শাহ নেওয়াজ, গিয়াস আহমেদ, তরিকুর রহমান, আরমান চৌধুরী
নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ও কমিউনিটির তরুণ নেতারা
বক্তারা জোহরান মামদানির সামাজিক ন্যায়বিচারমূলক দৃষ্টিভঙ্গি, ফিলিস্তিন ইস্যুতে তার মানবিক অবস্থান এবং সাশ্রয়ী আবাসন, বিনামূল্যে ট্রান্সপোর্ট ও ন্যায্যমূল্যের গ্রোসারির প্রতিশ্রুতি প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশি ভোটারদের ঐক্যবদ্ধ বার্তা
বক্তাদের মতে, নিউ ইয়র্ক সিটির ৩৬০ বছরের ইতিহাসে এটি হতে যাচ্ছে একটি মাইলফলক নির্বাচন। আগেরবারের মতো নিরুৎসাহিত নয়—এইবার বাংলাদেশি কমিউনিটির ভোটারদের সামনে আছে একজন “নিজেদের প্রার্থী”। তাই সকলকে ২৪ জুনের নির্বাচনে ভোট দিতে আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশ শেষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়, যা জ্যামাইকার প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।
শাহ্ জে. চৌধুরী