হোসনেআরা চৌধুরী
নিউ ইয়র্ক, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫- মেয়র নির্বাচনের কাউন্টডাউন শুরু হতেই নিউ ইয়র্ক সিটি রাজনৈতিক উত্তেজনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে। অর্থায়ন, ইমিগ্রেশন এবং জননিরাপত্তা-এই তিনটি বড় ইস্যু এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। এর মধ্যেই কুইন্সে এক কিশোরের মাথায় গুলির ঘটনা শহরবাসীর নিরাপত্তাহীনতার উদ্বেগকে আরও গভীর করেছে।
অর্থায়ন নিয়ে গধসফধহর’র অঙ্গীকার
ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী তড়যৎধহ গধসফধহর স্পষ্ট জানালেন যে শহরের উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক পরিষেবা খাতে পর্যাপ্ত অর্থায়ন নিশ্চিত করাই তার অগ্রাধিকার। তিনি রাজ্য নেতৃত্বের (এড়াবৎহড়ৎ ঐড়পযঁষ, অংংবসনষু ঝঢ়বধশবৎ ঐবধংঃরব, ঝবহধঃব খবধফবৎ ঝঃবধিৎঃ-ঈড়ঁংরহং) সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখলেও স্বীকার করেছেন, সব নীতি সিদ্ধান্তে তাদের সঙ্গে মতের মিল নাও থাকতে পারে।
“টেকসই অর্থ ছাড়া জনগণের জীবনমান উন্নত করা সম্ভব নয়,” – বলেছেন গধসফধহর।
ইমিগ্রেশন ইস্যুতে ঝষরধি’র অবস্থান
অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ঈঁৎঃরং ঝষরধি ইমিগ্রেশন নিয়ে কঠোর বক্তব্য দিয়েছেন। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পূর্ববর্তী নীতির সঙ্গে তিনি কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে আদালত প্রাঙ্গণ বা কোর্টের বাইরে হঠাৎ গ্রেপ্তার বা ইমিগ্রেশন রেইড চালানোর বিরোধিতা করেছেন তিনি।
“আইনের শাসন বজায় রাখতে হবে, তবে বিচার ব্যবস্থাকে অশান্ত করা যাবে না,” বলেন ঝষরধি।
কুইন্সে গুলিবিদ্ধ কিশোর: নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ
সোমবার সকালে ক্যামব্রিয়া হাইটস এলাকায় ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরকে স্কুলে যাওয়ার পথে মাথায় গুলি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী এখনও পলাতক।
এই ঘটনায় অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই বলছেন, “শিশুরা স্কুলে যাওয়ার পথে যদি নিরাপদ না থাকে, তবে প্রশাসনের দায়িত্ব কোথায়?
নগরবাসীর বড় উদ্বেগ
এই তিনটি বিষয়-
* শিক্ষা ও উন্নয়নে অর্থায়ন,
* ইমিগ্রেশন নীতি ও আইনের শাসন,
*এবং ক্রমবর্ধমান বন্দুক সহিংসতা—
সবই এখন ভোটারদের মন জয় করার প্রধান ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, নিউ ইয়র্ক সিটি এমন এক মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে যেখানে প্রতিটি সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের নগর কাঠামোকে নতুন করে গড়ে তুলতে পারে।
উপসংহার
প্রার্থীরা যত প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, বাস্তবে নিউ ইয়র্কবাসীর প্রত্যাশা একটাই-একটি নিরাপদ, ন্যায়সঙ্গত ও উন্নত শহর। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই পরিষ্কার হচ্ছে যে ভোটারদের কাছে কেবল বক্তৃতা নয়, কার্যকর নীতি আর বাস্তবসম্মত পরিকল্পনাই হবে সিদ্ধান্তের মূল চাবিকাঠি।