ফোবানা প্ল্যাটফর্ম বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে পারে যাতে করে তারা ফেলে আসা স্বদেশ ও তার সংস্কৃতি আর সমাজকে বুঝতে এবং তা প্রবাসের মাটিতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিতে পারে। সেইসাথে প্রবাসে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে নিজেদের অবদান রাখার পাশাপাশি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে পারে।
ভার্জিনিয়ার স্প্রিংফিল্ডে ২৭ এপ্রিল রবিবার উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশীদের সর্ববৃহৎ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন- ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকা (ফোবানা)’র ৩৯ তম সম্মেলনের মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
আগামী ২৯, ৩০ ও ৩১শে আগস্ট জর্জিয়ার আটলান্টায় অনুষ্ঠিতব্য এবারের সম্মেলনের শ্লোগান হচ্ছে – প্রবাস প্রজন্মের মনোনিবেশ, বিশ্বায়নে বাংলাদেশ।
বক্তারা ফোবানা সম্মেলনে সাহিত্য-সংস্কৃতিতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ভূমিকা উপর আলোকপাতের গুরুত্বারোপ করে বলেন, সাহিত্য-সংস্কৃতিতে সৃজনশীলতা ও কৃত্রিমতার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা সময়ের দাবি। তারা আরো বলেন, বাংলাদেশকে ধারণ করলে ফোবানার সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে এবং আমাদের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্য রক্ষা করতে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭০টি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবারের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা অ্যান্থনী পিউস গোমেজের উপস্থাপনায় অন্যান্যের মধ্যে ফোবানা সম্মেলনের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাটর্ণী আলমগীর, ভয়েজ অব আমেরিকা বাংলা বিভাগের সাবেক প্রধান রোকেয়া হায়দার, একই বিভাগের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আনিস আহমেদ, ফোবানা কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধক্য ড. প্রিয়লাল কর্মকার, হোস্ট কমিটির প্রেসিডেন্ট ডিউক খান, কোঅর্ডিনেটর নাহিদুল খান, সিনিয়র সহ-কোঅর্ডিনেটর কাজী নাহিদ, মেম্বর সেক্রেটারি মাহমুদুর রহমান ভূঁইয়া, ভার্জিনিয়ার প্রবীন জনহিতৈষী মজহারুল হক, গত ফোবানা সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট নুরুল আমিন নুরু, মেম্বর সেক্রেটারি আবু রুমি প্রমুখ।

ফোবানা সম্মেলনে দেশের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে
Leave a comment