বাংলাদেশ টেস্ট খেলা শুরু করেছে দুই যুগ আগে। তারও এক যুগ আগে থেকে পুরোদস্তুর ওয়ানডে খেলুড়ে জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এত দিন পরে এসে সেই দল ছোট কি না-প্রশ্ন করাটা অতিরঞ্জন ছাড়া আর কী হতে পারে? তবু উঠেছে এমন প্রশ্ন। গেল বছর এশিয়া কাপের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স বাংলাদেশকে ছোট দল বলে তোপের মুখে পড়েছিলেন। পরে বিশ্বকাপে প্রোটিয়া তারকার কথা ভুল প্রমাণ করতে পারেননি সাকিব আল হাসানরা। ভক্তদের ক্ষোভের কারণে ডি ভিলিয়ার্স নিজের কথা ফিরিয়েও নিয়েছিলেন, কিন্তু টাইগার বাহিনী বৈশ্বিক আসরে বড় দল প্রমাণের কোনো অনুষঙ্গ যোগ করতে পারেনি।
আগামী ৮ জুন নাজমুল হোসেন শান্তদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে। তার আগেই চলছে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা। গতকাল ভোরে নামিবিয়া-ওমান ম্যাচ কিংবা তার আগে পাপুয়া নিউগিনি-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। এ দুই ম্যাচ কিছু প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ দলকে। দুই বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন উইন্ডিজদের যেভাবে লড়াইয়ের মুখে ফেলেছিল পাপুয়া নিউগিনি, সেটি দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে। নিজেদের মাঠ, তারকায় ঠাসা দল, তবু নিউগিনির বিপক্ষে মাত্র ১৩৭ রানের লক্ষ্যে নাকানিচুবানি খেয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। তারা ম্যাচটি জিতেছে আর লড়াই দেখিয়েছে আইসিসির ২০ নম্বরে থাকা পাপুয়া নিউগিনি, যেখানে উইন্ডিজ রয়েছে ৪ নম্বরে।
বুক চিতিয়ে এই দল লড়াই করতে পারলে তাদের থেকে ১০ ধাপ এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ কেন পারে না? বাংলাদেশ এখনো বিশ্বকাপের ময়দানে লড়াই করতে নামেনি। তার পরেও প্রশ্নগুলো ক্রিকেট বিশ্লেষক থেকে শুরু করে ভক্তদের মন কিংবা সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মূলত যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ ও ভারতের বিপক্ষে টাইগারদের যে কুপোকাত দশা হয়েছে, তাতে এমন প্রশ্ন ওঠা অবান্তর কিছু নয়। এত বছর আগে থেকে ক্রিকেট ফেরি করা দেশের বিপক্ষে প্রশ্ন ওঠার সুযোগ তৈরি করেছেন ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ যেখানে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে টক্কর দিয়ে ২২ গজে আলো ছড়াবে, সেখানে শান্তদের বলতে হয়, কিছু আশা যেন ভক্তরা না করেন।