রয়টার্স: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স মঙ্গলবার ইউরোপীয়দের বলেছেন, কৃত্রিম মেধার উপর তাদের “মাত্রাতিরিক্ত” বিধিনিষেধ এই প্রযুক্তিরই শ্বাস রোধ করে দিতে পারে। পাশাপাশি, বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে পরিমিতি, সংযম ও মধ্যপন্থা অবলম্বনকে “কর্তৃত্ববাদী সেনসরশিপ” বলে অভিহিত করে একে বাতিল করেছেন তিনি। নিরাপত্তা উদ্বেগ থেকে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় প্রযুক্তি বৃদ্ধির ফলে এআই নিয়ে মনোভাব পাল্টেছে; আগামীতে এআই-কে ব্যবহার করতে দেশগুলি লড়াইয়ে নামছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে ভ্যান্স বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এআইয়ের জগতে বড় শক্তি হিসেবেই থাকতে ইচ্ছুক এবং বিধিনিষেধ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অতি-কঠোর দৃষ্টিভঙ্গিকে জোরালোভাবে বিরোধিতা করছে।
প্যারিসে সিইও ও রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে চলা এআই শীর্ষ সম্মেলনে ভ্যান্স বলেছেন, “আমরা বিশ্বাস করি, এআই-এর উপর মাত্রাতিরিক্ত বিধিনিষেধ এই রূপান্তরশীল শিল্পকে বিনাশ করতে পারে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি, মতাদর্শগত পক্ষপাত থেকে এআইকে মুক্ত রাখা একান্ত দরকার এবং কর্তৃত্ববাদী সেনসরশিপের হাতিয়ারে পরিণত করা যাবে না আমেরিকান এআই-কে।”
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল পরিষেবা আইন, সেই সঙ্গে ইউরোপের অনলাইন গোপনীয়তা বিধির (জিডিপিআর নামে পরিচিত) তৈরি করা “ব্যাপক বিধিনিষেধে”র সমালোচনা করে ভ্যান্স বলেছেন, এর অর্থ হল, ছোট ছোট সংস্থার জন্য আইন মেনে চলার অন্তহীন ব্যয়।
তিনি বলেন, “ইন্টারনেট যাতে নিরাপদ পরিসর হয় তা আমরা অবশ্যই সুনিশ্চিত করতে চাই, তবে ইন্টারনেটে একজন শিশুকে শিকারির হাত থেকে রক্ষা করা এক জিনিস আর সরকার ভুয়ো মনে করে এমন একটা মতামত পাওয়া থেকে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা নারীকে রোখা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।”
ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা গত বছর এই গোষ্ঠীর এআই আইনকে অনুমোদন দিয়েছে; এই প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এটাই বিশ্বের প্রথম সার্বিক বিধিমালা।
ভ্যান্স প্যারিস শীর্ষ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।