দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের পারস্পরিক রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম।
ভিয়েতনামের পরিবহনমন্ত্রী গুয়েন ভ্যান থাং-এর সঙ্গে বাংলাদেশের রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ আগ্রহের কথা উঠে আসে।
বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে দেশটির পরিবহনমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের নেতৃত্বে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভিয়েতনামে আছেন বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল। সরকারি এই সফরের অংশ হিসেবে রেলপথ মন্ত্রী ভিয়েতনামের পরিবহন মন্ত্রী গুয়েন ভ্যান থাং-এর সঙ্গে হ্যানয়ে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন। বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে দুই দেশের মধ্যকার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।’
ভিয়েতনামের পরিবহনমন্ত্রী বলেন, “ভিয়েতনামের মহান নেতা হো চি মিন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উভয়ই তাদের নিজ নিজ দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাই ঐতিহাসিক মহানুভবতায় বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম পরম বন্ধু।”
সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক সফর অব্যাহত রাখা এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশের রেলপথ মন্ত্রী বলেন, “যে কোনো দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি সাধনে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের বিকল্প নেই। সেই বিবেচনায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছেন। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সর্ববৃহৎ যোগাযোগ অবকাঠামোগত প্রকল্প বহুমুখী পদ্মা সেতু নির্মাণ করে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করে দিয়েছেন।”
ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. লুৎফর রহমান এসময় রেলপথ মন্ত্রীর সঙ্গে সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এই সফরে রেলপথ মন্ত্রী ও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ভিয়েতনামের কয়েকটি যোগাযোগ প্রকল্প পরিদর্শন করেন।