বিএনপির সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ক্ষমতার মালিক দেশের জনগণ, ক্ষমতার মালিক কোনো বিদেশি রাষ্ট্র নয়, কিংবা বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা নয়।” দলে ‘উল্টোপাল্টা’ লোকজন যেন না আসতে পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহŸান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ৩০ মে নিউ ইয়র্কে আওয়ামী লীগের এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “এখন সবাই আওয়ামী লীগ করতে চায়। “উল্টো-পাল্টা মানুষ যাতে নৌকায় উঠতে না পারে, সেজন্য সবাইকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।” জ্যাকসন হাইটস সংলগ্ন গুলশান টেরেসের মিলনায়তনে সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “উদ্ভট কথাবার্তা ছড়িয়ে গত নির্বাচনকেও বানচালে সক্ষম না হয়ে বিএনপি এবং জামায়াত এখন বিভিন্ন দেশে এজেন্ট নিয়োগ করেছে। ওই এজেন্টদের কাজ কী? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্ত ছড়ানো। “এখানকার সরকারের কাছে কিংবা আইন প্রণেতাদের কাছে নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক খবর পাঠায় এবং এভাবে তাদেরকে (কংগ্রেসসহ স্টেট ডিপার্টমেন্ট) বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালায়।
সেটার বিপরীতে আমাদের পক্ষ থেকে যদি সঠিক খবরটা পৌঁছানো না হয় তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই অনেকে বিভ্রান্ত হয়। সুতরাং সেই কাজটি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরকে করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।” বিএনপির সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিএনপির ঠিকানা কই? ঠিকানা নয়া পল্টন, আর রাতে বিভিন্ন অ্যাম্বেসি। দেশের মানুষের সাথে তাদের কোনো দেন-দরবার নেই। ক্ষমতার মালিক দেশের জনগণ, ক্ষমতার মালিক কোনো বিদেশি রাষ্ট্র নয়, কিংবা বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা নয়।” সভায় বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ফজলুর রহমান, নিজাম চৌধুরী প্রমুখ।
নিউ ইংল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ইউসুফ, ওয়াশিংটন ডিসি আওয়ামী লীগের নেতা মাহমুদুন্নবী বাকি, কানেকটিকাট স্টেট আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি হুমায়ূন চৌধুরীসহ বিভিন্ন স্টেট ও সিটির নেতারাও ছিলেন। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. ইমরান, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা, ডেপুটি কনসাল জেনারেল এস এম নাজমুল হাসানও ছিলেন সভায়।