শাহ্ জে. চৌধুরী
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য ঐ-১ই ভিসা আবেদন ফি বাড়িয়ে $১০০,০০০ করার ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমানে এই ফি’র তুলনায় প্রায় ৬০ গুণ বেশি এ হার নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রশাসনের যুক্তি, এ পদক্ষেপ আমেরিকানদের জন্য কর্মসংস্থান বাড়াবে। কিন্তু অর্থনীতিবিদ ও প্রযুক্তি খাতের নেতারা সতর্ক করছেন—এতে উল্টো প্রভাব পড়তে পারে, কমে যেতে পারে উদ্ভাবন ও যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা।
প্রযুক্তি খাতে প্রভাব
অসধুড়হ, গরপৎড়ংড়ভঃ, এড়ড়মষব, অঢ়ঢ়ষব ও গবঃধ’র মতো বড় প্রযুক্তি কোম্পানি দক্ষ বিদেশি কর্মীদের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্লেষকদের মতে, অতিরিক্ত ফি আন্তর্জাতিক মেধাবী কর্মীদের নিরুৎসাহিত করবে, ফলে বিশেষায়িত প্রকৌশল, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও গবেষণা খাতে বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি হতে পারে।
অর্থনৈতিক পূর্বাভাস
বিনিয়োগ ব্যাংক ইবৎবহনবৎম ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমিয়ে ২% থেকে ১.৫% করেছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, এ ধরনের নীতি “মেধা শূন্যতা” (ঃধষবহঃ াধপঁঁস) তৈরি করতে পারে, যা বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনকে অন্য দেশে সরিয়ে দেবে।
বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া
বিশেষত ভারত এই নীতির তীব্র সমালোচনা করেছে। দেশটি এটিকে “অমানবিক” ও অর্থনৈতিকভাবে “বিধ্বংসী” বলে আখ্যা দিয়েছে। ঘোষণার পর ভারতের শীর্ষ আইটি কোম্পানি ওহভড়ংুং ও ঞধঃধ ঈড়হংঁষঃধহপু ঝবৎারপবং-এর শেয়ারের দরেও পতন দেখা গেছে।
বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা
নীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশীয় কর্মসংস্থান রক্ষার লক্ষ্য থাকলেও দক্ষ অভিবাসন সীমিত করলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি নেতৃত্ব ঝুঁকির মুখে পড়বে। এক বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেছেন “এটি হয়তো স্বল্পমেয়াদে ভোট আনবে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে আমেরিকার উদ্ভাবনী শক্তি কমিয়ে দেবে।