নিউ ইয়র্ক পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে যে, তারা অফিস-গাড়ি ব্যবহার করে ব্যক্তিগতভাবে যাতায়াত করছেন এবং এর মাধ্যমে সাধারণ নিউ ইয়র্কবাসীর মতো টোল ও অন্যান্য চার্জ এড়াচ্ছেন। এই অভিযোগগুলো নতুন করে সতর্কতা জাগাচ্ছে যে, ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা এবং করদাতার অর্থের যথাযথ ব্যবহার কতটা নিশ্চিত হচ্ছে।
রিপোর্ট : হোসনেআরা চৌধুরী
নিউ ইয়র্ক পুলিশের লেফটেন্যান্ট ঔড়ংবঢ়য অনফবষসবংংরয-এর হোয়িস্টলব্লোয়ার মামলা অনুযায়ী, অন্তত নয়জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিয়মিত “ওয়ার্ক কার” ব্যবহার করে তাদের বাসা থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে যাতায়াত করতেন। এই গাড়িগুলি টেক-হোম অনুমোদিত গাড়ি নয়।
অভিযোগের মূল বিষয়সমূহ:
কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত যাতায়াতের জন্য সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেছেন, বিশেষভাবে টোল ও কনজেশন চার্জ এড়ানোর জন্য।
গ্যাস, পার্কিং ও গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের খরচ করদাতার অর্থ থেকে দেওয়া হয়েছে।
কিছু কর্মকর্তা ব্যক্তিগত যাতায়াতে ট্রাফিক এড়িয়ে চলার জন্য লাইট ও সাইরেন ব্যবহার করেছেন।
কেউই টেক-হোম গাড়ির অনুমোদন বা প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পাননি।
আর্থিক ও নৈতিক উদ্বেগ:
অভিযোগগুলো দেখাচ্ছে যে, পুলিশ নেতৃত্বের সুবিধা এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন আর্থিক বোঝার মধ্যে একটি স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে।
যেখানে সাধারণ নিউ ইয়র্কবাসী টোল, কনজেশন চার্জ, পার্কিং ও জ্বালানি খরচ নিজেরা বহন করছেন, সেখানে অভিযোগে উল্লেখিত কর্মকর্তারা প্রতিবছর হাজারো ডলার খরচ এড়িয়ে যাচ্ছেন, যা শেষ পর্যন্ত করদাতার অর্থ থেকে দেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগকারীরা বলছেন, এটি জনবিশ্বাসের লঙ্ঘন এবং সরকারি সম্পদের অপব্যবহার।
জনমত ও প্রতিক্রিয়া:
পরিবহন অধিকারকর্মী সংগঠন জরফবৎং অষষরধহপব অভিযোগগুলোকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছে এবং বলেছে, সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে টোল এড়িয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ণ করে।
কিছু কমিউটার মন্তব্য করেছেন যে, শহর জনগণকে ক্রমবর্ধমান পরিবহন খরচ বহন করতে বলা হচ্ছে, অথচ কর্মকর্তারা অনুমোদনবিহীন সুবিধা নিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন।
একজন কমিউটার সাংবাদিকদের বলেন:
“আমরা নিয়ম মেনে প্রতিদিন টোল দিই। আইন প্রণেতারা কেন তা মানবেন না?”
আইনি ও প্রশাসনিক বিষয়াবলী:
মামলা গধহযধঃঃধহ ঝঁঢ়ৎবসব ঈড়ঁৎঃ-এ দায়ের করা হয়েছে, অভিযুক্ত হিসেবে নয়জন কর্মকর্তা এবং নিউ ইয়র্ক শহরকে নামানো হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা সরকারি সম্পদ দুর্ব্যবহার, করদাতার অর্থ অপচয় এবং বিভাগীয় নির্দেশাবলী লঙ্ঘন করেছেন।
এই মুহূর্তে ঘণচউ কোন আফিসিয়াল প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
বিশ্লেষণ:
এই মামলা বড় ধরনের ন্যায্যতা ও দায়বদ্ধতার প্রশ্ন তুলছে:
১. ন্যায্যতা: যখন সাধারণ মানুষ টোল দিতে বাধ্য, তখন কর্মকর্তারা এড়িয়ে গেলে তা দ্বৈত মান তৈরি করে।
২. স্বচ্ছতা: সরকারি গাড়ি ব্যবহার — বিশেষ করে করদাতার অর্থ ব্যবহৃত হলে — সঠিকভাবে নথিভুক্ত ও লঁংঃরভু করা আবশ্যক।
৩. প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা: উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলে, তা দ্রুত সমাধান না হলে পুরো বিভাগের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ণ হতে পারে।
উপসংহার:
ঘণচউ শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দেখাচ্ছে যে, সরকারি সম্পদ কীভাবে পরিচালিত, পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করা হয় তা গুরুত্বপূর্ন। আইনগত প্রক্রিয়ার বাইরে, এটি শহরের সরকারি গাড়ির ব্যবহার এবং স্বচ্ছতা বাড়ানোর জন্যও নতুন পদক্ষেপের আহ্বান করছে।
নিউ ইয়র্কবাসীর জন্য প্রত্যাশা স্পষ্ট:
কেউ — শীর্ষ আইন-প্রণেতা হলেও — এমন কোনো সুবিধা নিতে পারবে না যা সাধারণ নাগরিকদের জন্য সীমাবদ্ধ।




